All products
All category
কুষ্টিয়ার শনপাপড়ি (Shonpapri)
ছেলেবেলার বিভিন্ন মাজাদর খাবারের কথা আলোচনায় এলে প্রথমেই থাকে সনপাপড়ির নাম। আহা...! আর সেটা যদি হয় কুষ্টিয়ার শনপাপড়ি তাহলে তো কথায় নেই। সেই স্বাদ যেন এখনো মুখে লেগে আছে। মনে হলেই কেমন নস্টালজিক হয়ে যায় মন।

কুষ্টিয়ার শনপাপড়ি (Shonpapri)
price
- 100gm
- 300gm
Secure
Checkout
Satisfaction
Guaranteed
Privacy
Protected
Details:
- Warrantyবিক্রিত পন্য ফেরত নেয়া মহানবীর সুন্নাহ্ ।
এখন থেকে ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার শনপাপড়ি।
যা আমাদের নিজেদের ফ্যাক্টরিতে স্পেশাল ভাবে তৈরি তাই কম দামে ভালো শনপাপরি আপনাদের হাতে তুলে দিতে পারছি।
ছেলেবেলার ছোট ছোট শন পাপড়ির কথা মনে আছে? মুদি দোকানের বয়ামে থরে থরে সাজানো শন পাপড়ি। আকৃতিটা ছিল গোল গোল কয়েনের মত, তবে কয়েনের চাইতে অনেক অনেক গুন পুরু।
কখনো বাজার করার টাকা বাঁচিয়ে, কখনো স্কুলে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া বাঁচিয়ে দোকান থেকে শন পাপড়ি কেনার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতাম আমরা। দোকানদার মামা এক টুকরো বইয়ের ছেড়া পাতায় শনপাপড়ি সাজিয়ে দিতেন। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার আগেই তা চলে যেত উদরের অতল গহ্বরে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া মণ্ডলপাড়া গ্রাম। সেখানে শনপাপড়ির তৈরির জন্য ৭–৮ টি কারখানা আছে। মিষ্টি স্বাদের শনপাপড়ি খেতে খুব ভালো লাগলে, এর তৈরির প্রক্রিয়াটি কিন্তু সহজ নয়। অনেক মানুষের শ্রম আর নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় জনপ্রিয় এই খাবার। সেই প্রক্রিয়াটাও দেখার মতো।
মাটির বড় চুলায় কড়াই বসিয়ে পরিমাণ মতো চিনি ও পানি দেয়া হয়। এরপর একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঘন সিরা তৈরি করা হয়। যা দেখতে অনেকটা সরিষার তেলের মতো। এরপর এই চিনির সিরা চুলা থেকে নামিয়ে ঢালতে হয় টিনের ট্রেতে। তখন দেখতে চকলেটের মতো মনে হয়। কড়াইটি আবোরও চুলায় ওঠে। তাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে ডালডা–আটা জ্বাল দেয়া হয়। সেগুলো একটি পাত্রে নামিয়ে রাখার পর আগেই প্রস্তুত হওয়া চকলেটের মণ্ডগুলো একটি বড় টিনের ট্রেতে রাখা হয়।
এরপর নানা কৌশল ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এভাবে প্রায় ৪০টি পাক দেয়ার সময় অল্প অল্প করে আটা মেশাতে হয়। এরপর দৃশ্যমান হয় এরকম ছোট ছোট আঁশের মতো পণ্য।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ চলে এই আঁশের মতো দেখতে উপকরণ নিয়ে কারুকাজ। এভাবে এক সময় এটি অনেক পাতলা এবং খাবার উপযোগী হয়ে ওঠে।
এরপরের ধাপটি অন্যরকম। মূলত তখন এই পাপড়িগুলোকে আলাদাভাবে শেপ দেয়া হয়। এই ধাপের কাজের জন্য স্টিলের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ডাইস, টিনের ট্রে, গ্লাস ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। এবং এক সময় এমন আকার ধারণ করে।
আর সবশেষে প্লাস্টিকের বক্সে সেগুলো সাজিয়ে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করা হয়। সম্পূর্ণ হাতে তৈরি, ক্ষুদ্র এই শিল্পটি বর্তমানে নানা কারণে হুমকির মুখে। বিশেষ করে চিনিসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়ছে এই শিল্পের ওপর। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন গ্রামের অসংখ্য মানুষের জীবিকা শনপাপড়ি তৈরি করা।
related_products:
Hello! 👋🏼 What can we do for you?
04:18